Psyllium Husk (ইসুবগুলের ভূষি)

https://ovinnobd.com/web/image/product.template/24/image_1920?unique=ac350bf

ইসবগুলের ভুসি মূলত এক প্রকার দ্রবণীয় ফাইবার যা সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা। রেচক বা ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও পরিচিত। ইসবগুলের ভুসি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ, হার্ট বা হৃৎপিণ্ড এবং অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত।

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

0.00 ৳

Not Available For Sale

  • Select Weight

This combination does not exist.


Terms and Conditions
Shipping: 2-4 Business Days


ভূমিকা

ইসবগুলের ভুসি মূলত এক প্রকার দ্রবণীয় ফাইবার যা সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা। রেচক বা ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও পরিচিত। ইসবগুলের ভুসি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ, হার্ট বা হৃৎপিণ্ড এবং অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত।

উপাদান

ইসুবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ০ শতাংশ ফ্যাট, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন।পেট পরিষ্কারে ওষুধের চেয়ে ইসবগুল অনেকগুণে উপকারী। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ্বরোগের সৃষ্টি হয়। অর্শ্বরোগ অনেক সময় ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিতেও রূপান্তরিত হতে পারে। এসব সমস্যার শুরু থেকে সমাধান করতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

খাওয়ার নিয়ম 

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই জানি, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হয়। আসলে কি তাই? এটির ব্যবহার কি শুধু কোষ্টকাঠিন্য নিরাময়? হালকা ধরনের কোষ্টকাঠিন্যে পানি, সবজি ও ফল খেলে ভালো হয়ে যায়। ইসবগুলের ভুসি খেলে মলের পরিমাণ বাড়ে, মলের মধ্যে পানি ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। কীভাবে খাবেন? চিনি দিয়ে নাকি চিনি ছাড়া? ১-২ চা চামচ ২৫০ মিলি বা ১ গ্লাস পানি দিয়ে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। পানির সঙ্গে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাবেন যাতে শরীরের ভেতরে ঢুকে এটি ফোলে। চিনি মেশানোর দরকার নেই।

প্রোবায়োটিক হিসেবেও এটির ব্যবহার হচ্ছে। ২ চা চামচ ভুসি ১৫ মিলিলিটার টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবারের পরে খাবেন। এরপর ১ গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। ডায়রিয়াজনিত রোগে এটি প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএসে যেখানে কোষ্টকাঠিন্য প্রাধান্য পায় সেখানেও ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যায়।

হেমোরেয়ডস, এনাল ফিশার বা পাইলস বা অর্শ রোগের ব্যথা কমাতে এটি সাহায্য করে।

রিফ্লাক্স রোগ বা খাদ্যনালির প্রদাহ কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়। ২ চা চামচ ইসবগুল ১ গ্লাস ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে খেতে পারেন। খাওয়ার পর পেট-বুক জ্বালাপোড়া করা ও পেটে গ্যাস হওয়া রিফ্লাক্স রোগের উপসর্গ। খাবারের পর পাকস্থলীর গায়ে এটি আবারণ সৃষ্টি করে। ফলে এসিড থেকে শরীরে ক্ষতি কম হয়। এই খাবারের ফলে শর্করা জাতীয় খাবার কম শোষিত হয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি পরোক্ষভাবে উপকার করে।

২ চা চামচ ইসবগুল ২৫০ মিলি কুসুম গরম পানির সঙ্গে ১-২ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে নাস্তার পরে খেলে শরীরের ওজন কমে যায়।

সারা বছর ধরে খেলে পেট ভুট ভুট করে, ডায়রিয়াও হতে পারে। একটানা ৭-১০ দিনের বেশি খাওয়া উচিত নয়। কিছু ওষুধ সেবনেও ইসবগুলের ভুসি বাধা দেয়।